আজ অফিস থেকে বের হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমেছি, উদ্দেশ্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব স্যারকে রিসিভ করে এসি ল্যান্ড অফিসে নিয়ে যাওয়া। হঠাৎ চোখ গেল গাড়ির অদূরে দাড়নো এক বয়স্ক মহিলার দিকে। পরণে একটি জরাজীর্ণ শাড়ি, হাতে একটি কাগজ। নিজে থেকে যেয়েই প্রশ্ন করালাম, আপনি এখানে কি কোন অফিসে কাজে এসেছেন? জবাবে বললো আমি 'টুয়ানো' সাবের সাথে দেখা করব। বললাম আমি সেই লোক, আমাকে বলেন কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি? তিনি উত্তরে বললেন আমি টুয়ানো' সাবের রুমে যেয়ে বলব। একদিকে প্রটোকল এর সময় হয়ে এসেছে, অন্যদিকে মানবতার প্রশ্ন জড়িত। শেষ পর্যন্ত মানবতা জয়ী হল। বৃদ্ধাকে নিয়ে পুনরায় অফিসে নিয়ে বসলাম। তাকে আমার সামনের চেয়ারে বসতে বললাম কিন্তু রাজি হল না। হাতের কাগজটি নিয়ে দেখলাম জন্ম নিবন্ধন এর সনদপত্র। কথা বলে জানলাম তার NID Card হারিয়ে গেছে, এজন্য কোন সাহায্য পাচ্ছে না। নির্বাচন কর্মকর্তাকে একটি চিরকুট লিখে দিলাম বিনা হয়রানিতে মহিলার আই, ডি, কার্ড করে দেয়ার জন্য, সাথে ফোন করে বলে দিলাম। সমাজসেবা কর্মকর্তাকে ডেকে বলে দিলাম বয়স্ক ভাতা এর একটি কার্ড করে দেয়ার জন্য, আই, ডি কার্ড এর জায়গায় মন্তব্য কলামে লিখবেন ইউ,এন,ও এর নির্দেশনা, জন্ম নিবন্ধন এর নং টি পেন্সিল দিয়ে লিখে রাখবেন আই,ডি কার্ড এর জায়গায়। এ ক্ষেত্রে যদি নিয়মের ব্যত্যয় হয় তবে এই বৃদ্ধার জন্য এইটুকু অনিয়ম হোক। সদর ইউ,পি, চেয়ারম্যানকে ফোনে বলে দিলাম তাকে একটি ফেয়ার প্রাইস কার্ড এবং ভিজিএফ কার্ড করে দেয়ার জন্য। বৃদ্ধার বয়স ৮০ এর উপর এবং একটি চোখ নষ্ট। এই মহিলাকে আমরা যদি সহায়তা করতে না পারি তাহলে এই চেয়ারে বসে লাভ কি আমার? মহিলা যাওয়ার সময় দেখলাম তার একটি মাত্র চোখে পানি চিকচিক করছে। আমি নিশ্চিত এটি আনন্দাশ্রু। যাবার সময় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে গেল," বাবা, আমি আল্লার কাছে দোয়া করি তুমি অনেক বড় হও।" আমার তখন মনে হল, স্যারকে সঠিক সময়ে রিসিভ না করার জন্য যতটুকু ভুল বা অন্যায় হয়েছে তার তুলনায় এই দোয়া আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া।
(Uno Islampur Jamalpur)
-------------------------------------------(collected)
Search This Blog
Monday, April 30, 2018
Sunday, April 29, 2018
প্রাথমিক জ্যামিতি আলোচনা
প্রাথমিক জ্যামিতি আলোচনা
""""""""''''''""""'''""""""""''''''''""""""'''''"""""""""""'''""""'"""
#বিন্দুঃ যার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও বেধ বা উচ্চতা নেই, শুধু অবস্থান আছে তাই বিন্দু।
বিন্দুর অবস্থানের প্রতিরূপ হিসাবে ডট (.) ব্যবহৃত হয়।
#রেখাঃ যার শুধু দৈর্ঘ্য আছে, প্রস্থ ও বেধ নেই তাই রেখা।
• রেখার কোন প্রান্তবিন্দু নেই।
• রেখাংশের দুইটি প্রান্তবিন্দু
• রশ্মির একটি প্রান্তবিন্দু আছে।
ক)#সরল_রেখাঃ যে রেখার গতিপথ সোজা তাই সরলরেখা।
i)#সমান্তরাল_রেখাঃ একটি সরল রেখার সাথে অপর একটি সরলরেখা সর্বদা সমান লম্বদুরত্ব বজায় রেখে চলে তবে তাদের সমান্তরাল সরলরেখা বলে।
চিত্রে, AB ও CD দুটি পরস্পর সমান্তরাল রেখা।
ii)#তীর্যক_রেখাঃ যদি কোন রেখা খাড়া বা ভূমির সমান্তরালে না থেকে হেলানো অবস্থায় থাকে তবে তা তীর্যক রেখা।
চিত্রে, AB একটি তীর্যক রেখা।
#কোণঃ- দুটি রশ্মির প্রান্তবিন্দু দুটি একই স্থলে ছেদ করলে তা কোণ। তখন ঐ প্রান্তবিন্দুকে কোণের শীর্ষ বা শীর্ষ বিন্দু বলে।
চিত্রে, ABC একটি কোণ। কোণকে ∠ চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
• কোণ পরিমাপের একক হল ডিগ্রি।
• সমকোণ হল কোণ পরিমাপের আদর্শ।
i)#সূক্ষ্মকোণঃ ৯০°বা এক সমকোণের ছোট কোণকে সূক্ষ্মকোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC একটি সূক্ষ্মকোণ।
ii)#সমকোণঃ ৯০°বা এক সমকোণের সমান কোণকে সমকোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC একটি সমকোণ।
iii)#স্থুলকোণঃ এক সমকোণ অপেক্ষা বড় কিন্তু দুই সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে স্থুলকোণ বলে।চিত্রে, ∠ABC একটি স্থুলকোণ।
iv)#সরলকোণঃ ১৮০° বা দুই সমকোণের সমান কোণকে সরলকোণ বলে।
চিত্রে,∠ ABC একটি সরলকোণ।
v)#প্রবৃদ্ধকোণঃ দুই সমকোণ অপেক্ষা বড় কিন্তু চার সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC একটি প্রবৃদ্ধকোণ।
vi)#পূরক_কোণঃ দুটি কোণের যোগফলের পরিমাপ যদি ৯০° বা এক সমকোণের সমান হয় তবে কোণ দুটির একটিকে অপরটির পূরক কোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC ও ∠CBD পরস্পর পূরক কোণ।
vii)#সম্পূরক_কোণঃ দুটি কোণের যোগফলের পরিমাপ যদি ১৮০° বা দুই সমকোণের সমান হয় তবে কোণ দুটির একটিকে অপরটির সম্পূরক কোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC ও ∠CBD পরস্পর সম্পূরক কোণ।
viii)#বিপ্রতীপ_কোণঃ কোনো কোণের দুই বাহু যদি অপর একটি কোণের বিপরীত রশ্মিদ্বয় হয় তবে তাকে বিপ্রতীপ কোণ বলে।
চিত্রে, ∠AOC ও ∠BOD একটি বিপ্রতীপ কোণ।
xi)#সন্নিহিত_কোণঃ যদি কোনো তলে দুটি কোণের একই শীর্ষবিন্দু হয় এবং কোণ দুইটি তাদের একটি সাধারণ বাহুর বিপরীত পাশে অবস্থান করে তবে কোণ দুটিকে একে অপরের সন্নিহিত কোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC ও ∠CBD পরস্পর সন্নিহিত কোণ।
""""""""''''''""""'''""""""""''''''''""""""'''''"""""""""""'''""""'"""
#বিন্দুঃ যার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও বেধ বা উচ্চতা নেই, শুধু অবস্থান আছে তাই বিন্দু।
বিন্দুর অবস্থানের প্রতিরূপ হিসাবে ডট (.) ব্যবহৃত হয়।
#রেখাঃ যার শুধু দৈর্ঘ্য আছে, প্রস্থ ও বেধ নেই তাই রেখা।
• রেখার কোন প্রান্তবিন্দু নেই।
• রেখাংশের দুইটি প্রান্তবিন্দু
• রশ্মির একটি প্রান্তবিন্দু আছে।
ক)#সরল_রেখাঃ যে রেখার গতিপথ সোজা তাই সরলরেখা।
i)#সমান্তরাল_রেখাঃ একটি সরল রেখার সাথে অপর একটি সরলরেখা সর্বদা সমান লম্বদুরত্ব বজায় রেখে চলে তবে তাদের সমান্তরাল সরলরেখা বলে।
চিত্রে, AB ও CD দুটি পরস্পর সমান্তরাল রেখা।
ii)#তীর্যক_রেখাঃ যদি কোন রেখা খাড়া বা ভূমির সমান্তরালে না থেকে হেলানো অবস্থায় থাকে তবে তা তীর্যক রেখা।
চিত্রে, AB একটি তীর্যক রেখা।
#কোণঃ- দুটি রশ্মির প্রান্তবিন্দু দুটি একই স্থলে ছেদ করলে তা কোণ। তখন ঐ প্রান্তবিন্দুকে কোণের শীর্ষ বা শীর্ষ বিন্দু বলে।
চিত্রে, ABC একটি কোণ। কোণকে ∠ চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
• কোণ পরিমাপের একক হল ডিগ্রি।
• সমকোণ হল কোণ পরিমাপের আদর্শ।
i)#সূক্ষ্মকোণঃ ৯০°বা এক সমকোণের ছোট কোণকে সূক্ষ্মকোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC একটি সূক্ষ্মকোণ।
ii)#সমকোণঃ ৯০°বা এক সমকোণের সমান কোণকে সমকোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC একটি সমকোণ।
iii)#স্থুলকোণঃ এক সমকোণ অপেক্ষা বড় কিন্তু দুই সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে স্থুলকোণ বলে।চিত্রে, ∠ABC একটি স্থুলকোণ।
iv)#সরলকোণঃ ১৮০° বা দুই সমকোণের সমান কোণকে সরলকোণ বলে।
চিত্রে,∠ ABC একটি সরলকোণ।
v)#প্রবৃদ্ধকোণঃ দুই সমকোণ অপেক্ষা বড় কিন্তু চার সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC একটি প্রবৃদ্ধকোণ।
vi)#পূরক_কোণঃ দুটি কোণের যোগফলের পরিমাপ যদি ৯০° বা এক সমকোণের সমান হয় তবে কোণ দুটির একটিকে অপরটির পূরক কোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC ও ∠CBD পরস্পর পূরক কোণ।
vii)#সম্পূরক_কোণঃ দুটি কোণের যোগফলের পরিমাপ যদি ১৮০° বা দুই সমকোণের সমান হয় তবে কোণ দুটির একটিকে অপরটির সম্পূরক কোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC ও ∠CBD পরস্পর সম্পূরক কোণ।
viii)#বিপ্রতীপ_কোণঃ কোনো কোণের দুই বাহু যদি অপর একটি কোণের বিপরীত রশ্মিদ্বয় হয় তবে তাকে বিপ্রতীপ কোণ বলে।
চিত্রে, ∠AOC ও ∠BOD একটি বিপ্রতীপ কোণ।
xi)#সন্নিহিত_কোণঃ যদি কোনো তলে দুটি কোণের একই শীর্ষবিন্দু হয় এবং কোণ দুইটি তাদের একটি সাধারণ বাহুর বিপরীত পাশে অবস্থান করে তবে কোণ দুটিকে একে অপরের সন্নিহিত কোণ বলে।
চিত্রে, ∠ABC ও ∠CBD পরস্পর সন্নিহিত কোণ।
Friday, April 27, 2018
গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা'র পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার কারণ।
২০১৭ সালের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা ১ম ও ২য় সেমিস্টার পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এটার মূল কারণ হল ২৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাই নি। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট এর আপিল বিভাগের আদেশ থাকা সত্তেও "গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা" পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য ২৫০ জন প্রবেশপত্র ও নিবন্ধনপত্র দেয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। গত রবিবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষায়ক সাংবাদিকদের ল' রিপোর্টারস ফোরাম (এল আর এফ) কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলন এ এই অভিযোগ করেন এসবি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কলেজের অধ্যক্ষ আল ফারাবি মোঃ নরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০০০ সালে এই কলেজের যাত্রা শুরু করার পর থেকে ১৫ টি ব্যাচ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৭ সালে এই কলেজে অনলাইন কোড বন্ধ করে দেয়। এতে এই সেশন এ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটা রিট করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রুলস সহ একটা আদেশ দেন। সেই আদেশে এই ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে নিবন্ধন ও প্রবেশপত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেন।
জাবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও তা খারিজ করে দেন। তিনি আরো বলেন, জাবি এই ২৫০ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আশ্বাস দেন। পূর্ব সূচি অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রলি থেকে এই ব্যাচের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয় নি।
তাই এসকল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পরে জাবি এর আইন শাখার ডিপুটি রেজিস্টার সিদ্দিকুর রহমানের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের আইনজীবীর কাছ থেকে জেনেছি হাইকোর্ট একটি সংক্রান্ত সম্পূরক আবেদনের বিষয়ে আগামী সোমবার আদেশের জন্য রেখেছেন। সেই আদেশ আমাদের সেভাবে নির্দেশনা দিবে আমরা সেভাবে তা বাস্তবায়ন এর জন্য কাজ করব।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০০০ সালে এই কলেজের যাত্রা শুরু করার পর থেকে ১৫ টি ব্যাচ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৭ সালে এই কলেজে অনলাইন কোড বন্ধ করে দেয়। এতে এই সেশন এ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটা রিট করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রুলস সহ একটা আদেশ দেন। সেই আদেশে এই ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে নিবন্ধন ও প্রবেশপত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেন।
জাবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও তা খারিজ করে দেন। তিনি আরো বলেন, জাবি এই ২৫০ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আশ্বাস দেন। পূর্ব সূচি অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রলি থেকে এই ব্যাচের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয় নি।
তাই এসকল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পরে জাবি এর আইন শাখার ডিপুটি রেজিস্টার সিদ্দিকুর রহমানের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের আইনজীবীর কাছ থেকে জেনেছি হাইকোর্ট একটি সংক্রান্ত সম্পূরক আবেদনের বিষয়ে আগামী সোমবার আদেশের জন্য রেখেছেন। সেই আদেশ আমাদের সেভাবে নির্দেশনা দিবে আমরা সেভাবে তা বাস্তবায়ন এর জন্য কাজ করব।
Thursday, April 26, 2018
বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার পদের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন সংক্রান্ত নোটিশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার পদের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন সংক্রান্ত নোটিশ
পরীক্ষাঃ ২৭ এপ্রিল ২০১৮
বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘অফিসার (জেনারেল)’ পদের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন
বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘অফিসার (জেনারেল)’ পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে প্রার্থীদের
MCQ Test গ্রহণের সময়সূচি ও পরীক্ষা কেন্দ্র সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি।
বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘অফিসার (জেনারেল)’ পদে নিয়োগের লক্ষ্যে ইতিপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হতে প্রবেশপত্র
ডাইনলোডকারী প্রার্থীদের ০১ ঘন্টা ব্যাপী ১০০ নম্বরের MCQ Test আগামী ২৭/০৪/২০১৮ তারিখ সকাল ১০.০০ টা থেকে
১১.০০ টা পর্যন্ত ঢাকা শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১২ এপ্রিল ২০১৮ তারিখের বিজ্ঞপ্তি নম্বর ০৯/২০১৮ এর মাধ্যমে
প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে ২০২৪১৯ হতে ২০৬০১৯ রোল নম্বরধারী প্রার্থীদের পরীক্ষা শের-এ-বাংলা নগর সরকারী বালক উচ্চ
বিদ্যালয়, আগারগাঁও, শের-এ-বাংলানগর কেন্দ্রের পরিবর্তে নিম্নবর্ণিত কেন্দ্রসমূহে অনুষ্ঠিত হবে।
Notice for Change of One (01) Center of MCQ test to be held on 27/04/2018 for the post of Officer (General) of Bangladesh Bank
পরীক্ষাঃ ২৭ এপ্রিল ২০১৮
বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘অফিসার (জেনারেল)’ পদের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন
বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘অফিসার (জেনারেল)’ পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে প্রার্থীদের
MCQ Test গ্রহণের সময়সূচি ও পরীক্ষা কেন্দ্র সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি।
বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘অফিসার (জেনারেল)’ পদে নিয়োগের লক্ষ্যে ইতিপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হতে প্রবেশপত্র
ডাইনলোডকারী প্রার্থীদের ০১ ঘন্টা ব্যাপী ১০০ নম্বরের MCQ Test আগামী ২৭/০৪/২০১৮ তারিখ সকাল ১০.০০ টা থেকে
১১.০০ টা পর্যন্ত ঢাকা শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১২ এপ্রিল ২০১৮ তারিখের বিজ্ঞপ্তি নম্বর ০৯/২০১৮ এর মাধ্যমে
প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে ২০২৪১৯ হতে ২০৬০১৯ রোল নম্বরধারী প্রার্থীদের পরীক্ষা শের-এ-বাংলা নগর সরকারী বালক উচ্চ
বিদ্যালয়, আগারগাঁও, শের-এ-বাংলানগর কেন্দ্রের পরিবর্তে নিম্নবর্ণিত কেন্দ্রসমূহে অনুষ্ঠিত হবে।
Notice for Change of One (01) Center of MCQ test to be held on 27/04/2018 for the post of Officer (General) of Bangladesh Bank
গ্রন্থাগার কাকে বলে? গ্রন্থাগার কত প্রকার ও কি কি?
ভূমিকা: সভ্যতার অগ্রযাত্রায় মানুষের নির্ভরযোগ্য এক সঙ্গী গ্রন্থাগার। জ্ঞান সৃষ্টি, জ্ঞান সংরক্ষণ এবং এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের জ্ঞানের প্রবাহ নিশ্চিত করেছে গ্রন্থাগার। সেই সঙ্গে সমাজের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানব সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করেছে।
**গ্রন্থাগার:
গ্রন্থাগারের ইংরেজি প্রতিশব্দ ’Library’। Library শব্দের উৎপত্তি হয়েছে মূলত ল্যাটিন শব্দ ’Liber’ থেকে। Liber শব্দটি থেকে এসেছে Librarium শব্দটি, যার অর্থ ’বই রাখার স্থান’। এর থেকে উদ্ভূত হয়েছে ফরাসি শব্দ librairie, যা অর্থ ’বইয়ের সংগ্রহ’, এখান থেকে অ্যাংলো ফ্রেঞ্চ শব্দ librarie এবং সব শেষে ইংরেজি Library। গ্রন্থাগার বলতে সাধারনত যেখানে তথ্য সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়, সংরক্ষণ করা হয় এবং চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত পাঠককে প্রদান করা হয় তাকেই বোঝায়।
তাই বলা যায়, গ্রন্থাগার একটি জীবন্ত উপকরণ, যা অতীতের সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে বর্তমান প্রজন্মের ব্যবহার করার জন্য । ইহা এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা অতীত এবং বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে এবং তাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে যা তথ্য সমূহের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ব্যবহার উপযোগী করে তোলে।
**প্রামাণ্য সংজ্ঞা:
**ইউনিস্কো-এর মতে, ”মুদ্রিত বই, সাময়িকী অথবা অন্য যে কোন চিত্রসমৃদ্ধ বা শ্রবণ-দর্শন সামগ্রীর একটি সংগঠিত সংগ্রহ হল গ্রন্থাগার। যেখানে পাঠকের তথ্য, গবেষণা, শিক্ষা অথবা বিনোদন চাহিদা মেটানোর কাজে সহায়তা করা হয়।”
**J.
H. Shera এর মতে, “The library is an organization, a
system designed to preserve and facilitate the use of graphic records.”
**C. C, Aguolu & I. E. Aguolu এর মতে, ”গ্রন্থাগার হচ্ছে মানুষের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেরে নথিপত্রের সমষ্টি যেটি নানা ফরম্যাট ও ভাষায় সংগঠন ও ব্যাখ্যা করা হয়। গ্রন্থাগার মানুষের জ্ঞান, বিনোদন ও নান্দনিক উপভোগের নানা চাহিদা পূরণ করে।”
**সেনগুপ্ত ও চক্রবর্তী-এর মতে, ”গ্রন্থাগার হলো এমন একটি সংগঠন যেখানে বই, পত্র পত্রিকাও সমজাতীয় উপকরণ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা হয়।”
**গ্রন্থাগারের প্রকারভেদ:
গ্রন্থাগার নানা প্রকারের হয়ে থাকে। সাধারনত প্রতিষ্ঠানিকভাবে গ্রন্থাগারকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১। জাতীয় গ্রন্থাগার
২। গণগ্রন্থাগার
৩। একাডেমিক গ্রন্থাগার
৪। বিশেষ গ্রন্থাগার।
১। জাতীয় গ্রন্থাগার: জাতীয় গ্রন্থাগার সাধারনত দেশের সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। অন্যান্য গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার পেছনে যে সকল কারণ বিদ্যমান, এ ক্ষেত্রেও তার সবগুলো কারণ বিদ্যমান। তবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। আর এটি হয় এজন্য যে, জাতীয় পর্যায়ের গ্রন্থাগার অন্য আর দশটি অনুরূপ প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি একটি নন-লেন্ডিং প্রতিষ্ঠান। মূলত: জাতীয় গ্রন্থাগার এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার সংগ্রহের পরিধি জাতীয় ভিত্তিক, গুরুত্ব আন্তর্জাতিক এবং দেশ ও জাতি সম্পর্কে দেশী-বিদেশী সকল প্রকাশনা সংগ্রহ করে জাতীয় ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করাই এর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
২। গণগ্রন্থাগার: পাবলিক লাইব্রেরি বা গণগ্রন্থাগার জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়। সমাজের সকল স্তরের লোকের চাহিদা পূরণের জন্য এর উৎপত্তি ও বিকাশ। অন্য কোন গ্রন্থাগার এ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় না। এমনকি এর মত বহুমূখি সেবা দিতেও প্রস্তুত নয়। সমগ্র জাতিকে পরিকল্পিত উপায়ে সাহায্য করা এর লক্ষ্য, বিশেষ করে বুদ্ধির পরিপক্কতা অর্জনে সহায়তা গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে একটি। সমাজে সকল প্রকারের সদস্য ছাত্র, যুবক, বৃদ্ধ, মহিলা ও বিভিন্ন পেশাজীবী যেহেতু এর ব্যবহারকারী সুতরাং আবশ্যিকভাবে সংগ্রহ করা হয়ও বহুমূখী।
৩। একাডেমিক গ্রন্থাগার: একাডেমিক গ্রন্থাগার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাঠ ও গবেষনা প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। এসব গ্রন্থাগারে কেবল পাঠ্য ও পাঠ্য সহায়ক উপকরণই থাকে না, পাশাপাশি বিভিন্ন রেফারেন্স সামগ্রীসহ বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য উপকরণ সংগ্রহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে অন্যতম উদ্দেশ্য থাকেগবেষকদের প্রয়োজনীয় পাঠ্য উপকরণ সংগ্রহের মাধ্যমে জ্ঞানচর্চায় অগ্রসর পর্যায়ে সহায়তা জোগানো।
৪। বিশেষ গ্রন্থাগার: বিশেষ গ্রন্থাগার আসলে এক ধরনের গবেষণা গ্রন্থাগার, যাকে আমরা টেকনিক্যাল লাইব্রেরিও বলি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে নানা বিষয়ে গবেষণা কর্মের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। এই গবেষণা কর্মে সহায়তা জোগানোর জন্যই বিশেষ গ্রন্থাগারের আবির্ভাব। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি চিকিৎসাবিজ্ঞান, সমাজবিজ্হান ইত্যাদি নানা বিষয়ে তথ্য উপকরণ সংগ্রহের মাধ্যমে বিশেষ গ্রন্থাগারগুলো সমাজে এক ব্যাতিক্রমী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞানের মূল ভিত্তি সাজেশন, কোর্স নম্বর: ১০১
গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞানের মূল ভিত্তি
কোর্স নম্বর: ১০১
১। গ্রন্থাগার কাকে বলে? গ্রন্থাগার কত প্রকার ও কি কি? গ্রন্থাগারের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী আলোচনা কর। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় গ্রন্থাগারের ভূমিকা আলোচনা কর।
২। গ্রন্থাগারিক কারা? গ্রন্থাগারিকতার মূলনীতি কি? গ্রন্থাগারিকের ভূমিকা ও কার্যাবলী আলোচনা কর।
৩। প্রাচীন কালের গ্রন্থাগারগুলো উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ ও পতনের ইতিহাস আলোচনা করা।
৪। আধুনিক গ্রন্থাগার হিসেবে ’দি ব্রিটিশ লাইব্রেরি’র উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ আলোচনা কর।
৫। ’লাইব্রেরি অব কংগ্রেস’ এর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ আলোচনা কর।
৬। এস. আর. রঙ্গনাথনের পঞ্চনীতি আলোচনা কর।
৭। কমিউনিটি তথ্যসেবা কাকে বলে? ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গ্রন্থাগারের ভূমিকা আলোচনা কর।
৮। ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র ককে বলে? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গ্রন্থাগার শিক্ষা আলোচনা কর।
৯। গণগ্রন্থাগার ও বিশেষ গ্রন্থাগারের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী আলোচনা কর।
১০। জাতীয় গ্রন্থাগার ও একাডেমিক গ্রন্থাগারের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলী আলোচনা।
১১। তথ্যসেবা ও রেফারেন্সসেবা কাকে বলে? তথ্যসেবা ও রেফারেন্স সেবা কত প্রকার ও কি কি? তথ্যসেবা ও রেফারেন্স সেবার মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর।
১২। ডকুমেন্ট ডেলিভারি সার্ভিস ও রেফারেল সার্ভিস কাকে বলে। ডকুমেন্ট ডেলিভারি সার্ভিস ও রেফারেল সার্ভিসের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।
১৩। গ্রন্থাগার সেবা কাকে বলে? গ্রন্থাগার সেবার শ্রেণীবিভাগ আলোচনা কর।
১৪। তথ্যবিজ্ঞান কাকে বলে? তথ্য বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য ও পরিধি আলোচনা কর।
১৫। তথ্যের উৎস ও মাধ্যম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর।
১৬। রেফারেন্স সামগ্রী কাকে বলে? বিভিন্ন ধরণের রেফারেন্স সামগ্রী আলোচনা কর
১৭। তথ্যের বিস্ফোরণ বলতে কি বোঝ? তথ্যের বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণের উপকরণসমূহ আলোচনা কর।
6 Educational Institutes’ affiliation cancelled National University
6 Educational Institutes’ affiliation cancelled
National University
The affiliation of six educational institutions under the National University (NU) has been cancelled as they failed to fulfill the required conditions.
The decision, which was taken in the 144th syndicate meeting as per recommendations of the 79th academic council, was disclosed in a press release on Wednesday.
The release said that the affiliation of six educational institutions has been cancelled for their failure to meet required conditions.
The institutions are SB Science and Technology of Bogra, Bogra THBP and College, Bogra BP Advocate College, Bogra Library Science College, Institute of Library Arts of Khulna and Institute of Library and Information Science of Chittagong.
National University
The affiliation of six educational institutions under the National University (NU) has been cancelled as they failed to fulfill the required conditions.
The decision, which was taken in the 144th syndicate meeting as per recommendations of the 79th academic council, was disclosed in a press release on Wednesday.
The release said that the affiliation of six educational institutions has been cancelled for their failure to meet required conditions.
The institutions are SB Science and Technology of Bogra, Bogra THBP and College, Bogra BP Advocate College, Bogra Library Science College, Institute of Library Arts of Khulna and Institute of Library and Information Science of Chittagong.
বই রিভিউ করার ৬(ছয়)টি সহজ ধাপ
বই রিভিউ করার ৬(ছয়)টি সহজ ধাপ
কীভাবে বই রিভিউ করা যায়, সে বিষয়ে আমরা গ্রন্থগত ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রচনা প্রকাশ করেছি। বই আলোচনা করার নানা রকম নিয়ম কানুনের সাথে পরিচিত হয়েছি। সেসব আলোচনায় বিস্তারিতভাবে বই রিভিউয়ের পদ্ধতির সাথে পাঠককে সচেতন করে তোলার প্রচেষ্টা ছিল। আজ আমরা ছয়টি সহজ ধাপ অনুসরণ করে বই রিভিউ করার পদ্ধতি জানবো।
প্রথম ধাপঃ
একটি পছন্দসই বই নির্বাচন করুন
যে বইয়ের রিভিউ করতে চান, তার সাথে আপনাকে বেশ কিছুটা সময় কাটাতে হবে। অতএব নিজের কাজের সুবিধা ও মনের সন্তুষ্টির জন্য একটি আকর্ষণীয় বই পছন্দ করুন। কোন বই আপনার কাছে আকর্ষণীয় লাগবে তা যদি বুঝতে না পারেন, তাহলে ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবদের সাহায্য নিন। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। যেহেতু তারা আপনার বন্ধু, সেহেতু আপনাদের পরস্পরের মনের গঠন অনেকটা একই রকমের। অতএব, তাদের পছন্দের সাথে আপনার পছন্দ মিলে যেতে পারে।
দ্বিতীয় ধাপঃ
যিনি আপনার আগে পড়েছেন তাকে জিজ্ঞাসা করে বইটির সারাংশ জেনে নিতে পারেন
কিন্তু মনে রাখবেন নিজে পড়ার কোন বিকল্প নেই। তার চোখে হয়তো অনেক কিছু এড়িয়ে যেতে পারে, তার ভাললাগার সাথে আপনার ভাললাগার মিল নাও থাকতে পারে। তাই বইটি পড়ার জন্য একটুখানি সময় বরাদ্দ রাখুন। এতে আপনার পড়ার দক্ষতা ও মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়াও বইয়ের মধ্যে থাকা ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি আপনার চোখে পড়বে; যা হয়তো অন্যের চোখে নাও পড়তে পারে। অন্যদের কাছে সারাংশ শুনলে বইটি সম্পর্কে একটু ধারণা তৈরি হবে, কিন্তু ছোটখাট আকর্ষণীয় অংশগুলো চিহ্নিত করার জন্য সম্পূর্ণ বই পড়ার সত্যিই কোন বিকল্প নেই।
তৃতীয় ধাপঃ
পড়ার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অংশ খাতায় লিখে নিন
বই পড়ার সময় সবসময় হাতে একটি পেনসিল রাখুন। রাফ খাতায় প্রয়োজনীয় অংশ লিখে রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ শব্দ, বাক্য, বাক্যাংশ, অনুচ্ছেদ কোন কিছু বাদ দেবেন না। একই সাথে পৃষ্ঠা নম্বর লিখে রাখুন। তাহলে পরে চট করে খুঁজে নিতে সুবিধা হবে। বইয়ের কাহিনীর মধ্যে কোন বিশেষ ঘটনা রয়েছে কি, কোন বর্ণনা বা কাহিনীর কোন অংশ কি ভিন্নরকম মনে হচ্ছে, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে নোটখাতায় লিখে নিন।
যখন পূর্ণাঙ্গ বিবরণী লিখবেন তখন নোটখাতায় লেখা অংশগুলি আপনাকে খুব সাহায্য করবে। বারবার সমস্ত বইয়ের পাতা উল্টে উল্লেখযোগ্য অংশ খুঁজতে হবে না।
চতুর্থ ধাপঃ
বই বিবরণীর খন্ডাংশ অনুচ্ছেদ আকারে লিখুন
লেখার ধারাবাহিকতা যেন নষ্ট হয়ে না যায় সেজন্য বই বিবরণীকে একটু একটু করে লিখুন। মনে মনে সমস্ত আলোচনাটি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিন। তারপর প্রথম অংশ, দ্বিতীয় অংশ, তৃতীয় অংশ, চতুর্থ অংশ- এভাবে লিখুন। এতে আপনার লেখা তাল হারিয়ে ফেলবে না।
বইয়ের প্রথম দিকের ঘটনাগুলো আগে লিখুন। কাহিনীর সূচনা, চরিত্রের আগমন বা বিশেষ কোন ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করুন। বইয়ের মাঝের অংশ কিভাবে সাজানো হয়েছে? নতুন কোন চরিত্রের আগমন ঘটেছে কি? প্রধান চরিত্রের আচরণে কোন পরিবর্তন হয়েছে কি? আলোচনার শেষ অংশ বইয়ের উপসংহার বর্ণনা করুন। কীভাবে কাহিনী এগিয়েছে, কীভাবে ঘটনাগুলো পরিণতির মুখোমুখি হয়েছে তার বিবরণ দিন। লেখক কাহিনীর কোন অংশে ঘটনার তীব্রতা কীভাবে সৃষ্টি করেছেন, কীভাবে পরিসমাপ্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তার দিকে মনোযোগ দিন।
এভাবে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে বই পড়লে এবং লিখতে থাকলে দেখবেন অল্প পরিশ্রমে সমস্ত বইয়ের আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। আপনি নিজের মতো করে বইয়ের বিবরণী লিখতে পারেন। কিন্তু এভাবে খন্ডে খন্ডে ভাগ করে লিখলে আপনারই সুবিধা হবে।
এবার সবশেষে নিজের মন্তব্য লিখুন। বইটি সম্পর্কে আপনার মতামত, ভাললাগা বা খারাপ লাগার বিষয়গুলো স্পষ্ট করে ঠিকঠাক উদাহরণসহ তুলে ধরুন। পৃষ্ঠার নম্বর উল্লেখ করতে ভুলবেন না যেন।
পঞ্চম ধাপঃ
কয়েকদিনে বইটি পড়ুন
আপনি একদিনে এক বসাতেই সমস্ত বই পড়ে শেষ করে লিখতে বসতে পারেন। কিন্তু যদি প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট করে পড়েন ও সেই অংশটুকুর বিবরণী লিখে রাখেন তাহলে অনেকটা চাপমুক্ত থাকতে পারবেন।
যদি একদিনে লিখে শেষ করতে চান তাহলে একসাথে কয়েক ঘন্টা ধরে আপনাকে বইটি পড়া ও তার বিবরণী লেখার কাজ করতে হবে। এটা অনেকের কাছে বেশ পরিশ্রমসাধ্য মনে হতে পারে। বিভিন্ন রকমের সামাজিক ও পারিবারিক কাজেও বিঘ্ন ঘটতে পারে। তার চেয়ে যদি কয়েকদিনে প্রতিদিন আধঘন্টা করে সময় ব্যয় করেন, তাহলে অনেকটা ভারমুক্ত হয়ে বই বিবরণী লেখার কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন।
ষষ্ঠ ধাপঃ
ত্রুটি সংশোধনের জন্য অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন
বই বিবরণী লেখা শেষ হলে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নেয়া যেতে পারে। অনেক সময় নিজের লেখার ভুল নিজের চোখে ধরা পরে না। শব্দ চয়ন, বাক্যভঙ্গি বা বাক্য সজ্জ্বা, লেখার ভঙ্গিসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজের অজান্তেই ভুল থেকে যেতে পারে। সেজন্য অন্য আরেকজনকে দেখালে সেসব ভুল নির্ণয় করা সহজ হয়ে যায়।
এভাবে ধাপে ধাপে বই রিভিউয়ের কাজ এগিয়ে নেয়া শেষে একটি সম্পূর্ণ মানসম্পন্ন র
কীভাবে বই রিভিউ করা যায়, সে বিষয়ে আমরা গ্রন্থগত ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রচনা প্রকাশ করেছি। বই আলোচনা করার নানা রকম নিয়ম কানুনের সাথে পরিচিত হয়েছি। সেসব আলোচনায় বিস্তারিতভাবে বই রিভিউয়ের পদ্ধতির সাথে পাঠককে সচেতন করে তোলার প্রচেষ্টা ছিল। আজ আমরা ছয়টি সহজ ধাপ অনুসরণ করে বই রিভিউ করার পদ্ধতি জানবো।
প্রথম ধাপঃ
একটি পছন্দসই বই নির্বাচন করুন
যে বইয়ের রিভিউ করতে চান, তার সাথে আপনাকে বেশ কিছুটা সময় কাটাতে হবে। অতএব নিজের কাজের সুবিধা ও মনের সন্তুষ্টির জন্য একটি আকর্ষণীয় বই পছন্দ করুন। কোন বই আপনার কাছে আকর্ষণীয় লাগবে তা যদি বুঝতে না পারেন, তাহলে ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবদের সাহায্য নিন। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। যেহেতু তারা আপনার বন্ধু, সেহেতু আপনাদের পরস্পরের মনের গঠন অনেকটা একই রকমের। অতএব, তাদের পছন্দের সাথে আপনার পছন্দ মিলে যেতে পারে।
দ্বিতীয় ধাপঃ
যিনি আপনার আগে পড়েছেন তাকে জিজ্ঞাসা করে বইটির সারাংশ জেনে নিতে পারেন
কিন্তু মনে রাখবেন নিজে পড়ার কোন বিকল্প নেই। তার চোখে হয়তো অনেক কিছু এড়িয়ে যেতে পারে, তার ভাললাগার সাথে আপনার ভাললাগার মিল নাও থাকতে পারে। তাই বইটি পড়ার জন্য একটুখানি সময় বরাদ্দ রাখুন। এতে আপনার পড়ার দক্ষতা ও মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়াও বইয়ের মধ্যে থাকা ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি আপনার চোখে পড়বে; যা হয়তো অন্যের চোখে নাও পড়তে পারে। অন্যদের কাছে সারাংশ শুনলে বইটি সম্পর্কে একটু ধারণা তৈরি হবে, কিন্তু ছোটখাট আকর্ষণীয় অংশগুলো চিহ্নিত করার জন্য সম্পূর্ণ বই পড়ার সত্যিই কোন বিকল্প নেই।
তৃতীয় ধাপঃ
পড়ার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অংশ খাতায় লিখে নিন
বই পড়ার সময় সবসময় হাতে একটি পেনসিল রাখুন। রাফ খাতায় প্রয়োজনীয় অংশ লিখে রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ শব্দ, বাক্য, বাক্যাংশ, অনুচ্ছেদ কোন কিছু বাদ দেবেন না। একই সাথে পৃষ্ঠা নম্বর লিখে রাখুন। তাহলে পরে চট করে খুঁজে নিতে সুবিধা হবে। বইয়ের কাহিনীর মধ্যে কোন বিশেষ ঘটনা রয়েছে কি, কোন বর্ণনা বা কাহিনীর কোন অংশ কি ভিন্নরকম মনে হচ্ছে, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে নোটখাতায় লিখে নিন।
যখন পূর্ণাঙ্গ বিবরণী লিখবেন তখন নোটখাতায় লেখা অংশগুলি আপনাকে খুব সাহায্য করবে। বারবার সমস্ত বইয়ের পাতা উল্টে উল্লেখযোগ্য অংশ খুঁজতে হবে না।
চতুর্থ ধাপঃ
বই বিবরণীর খন্ডাংশ অনুচ্ছেদ আকারে লিখুন
লেখার ধারাবাহিকতা যেন নষ্ট হয়ে না যায় সেজন্য বই বিবরণীকে একটু একটু করে লিখুন। মনে মনে সমস্ত আলোচনাটি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিন। তারপর প্রথম অংশ, দ্বিতীয় অংশ, তৃতীয় অংশ, চতুর্থ অংশ- এভাবে লিখুন। এতে আপনার লেখা তাল হারিয়ে ফেলবে না।
বইয়ের প্রথম দিকের ঘটনাগুলো আগে লিখুন। কাহিনীর সূচনা, চরিত্রের আগমন বা বিশেষ কোন ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করুন। বইয়ের মাঝের অংশ কিভাবে সাজানো হয়েছে? নতুন কোন চরিত্রের আগমন ঘটেছে কি? প্রধান চরিত্রের আচরণে কোন পরিবর্তন হয়েছে কি? আলোচনার শেষ অংশ বইয়ের উপসংহার বর্ণনা করুন। কীভাবে কাহিনী এগিয়েছে, কীভাবে ঘটনাগুলো পরিণতির মুখোমুখি হয়েছে তার বিবরণ দিন। লেখক কাহিনীর কোন অংশে ঘটনার তীব্রতা কীভাবে সৃষ্টি করেছেন, কীভাবে পরিসমাপ্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তার দিকে মনোযোগ দিন।
এভাবে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে বই পড়লে এবং লিখতে থাকলে দেখবেন অল্প পরিশ্রমে সমস্ত বইয়ের আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। আপনি নিজের মতো করে বইয়ের বিবরণী লিখতে পারেন। কিন্তু এভাবে খন্ডে খন্ডে ভাগ করে লিখলে আপনারই সুবিধা হবে।
এবার সবশেষে নিজের মন্তব্য লিখুন। বইটি সম্পর্কে আপনার মতামত, ভাললাগা বা খারাপ লাগার বিষয়গুলো স্পষ্ট করে ঠিকঠাক উদাহরণসহ তুলে ধরুন। পৃষ্ঠার নম্বর উল্লেখ করতে ভুলবেন না যেন।
পঞ্চম ধাপঃ
কয়েকদিনে বইটি পড়ুন
আপনি একদিনে এক বসাতেই সমস্ত বই পড়ে শেষ করে লিখতে বসতে পারেন। কিন্তু যদি প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট করে পড়েন ও সেই অংশটুকুর বিবরণী লিখে রাখেন তাহলে অনেকটা চাপমুক্ত থাকতে পারবেন।
যদি একদিনে লিখে শেষ করতে চান তাহলে একসাথে কয়েক ঘন্টা ধরে আপনাকে বইটি পড়া ও তার বিবরণী লেখার কাজ করতে হবে। এটা অনেকের কাছে বেশ পরিশ্রমসাধ্য মনে হতে পারে। বিভিন্ন রকমের সামাজিক ও পারিবারিক কাজেও বিঘ্ন ঘটতে পারে। তার চেয়ে যদি কয়েকদিনে প্রতিদিন আধঘন্টা করে সময় ব্যয় করেন, তাহলে অনেকটা ভারমুক্ত হয়ে বই বিবরণী লেখার কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন।
ষষ্ঠ ধাপঃ
ত্রুটি সংশোধনের জন্য অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন
বই বিবরণী লেখা শেষ হলে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নেয়া যেতে পারে। অনেক সময় নিজের লেখার ভুল নিজের চোখে ধরা পরে না। শব্দ চয়ন, বাক্যভঙ্গি বা বাক্য সজ্জ্বা, লেখার ভঙ্গিসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজের অজান্তেই ভুল থেকে যেতে পারে। সেজন্য অন্য আরেকজনকে দেখালে সেসব ভুল নির্ণয় করা সহজ হয়ে যায়।
এভাবে ধাপে ধাপে বই রিভিউয়ের কাজ এগিয়ে নেয়া শেষে একটি সম্পূর্ণ মানসম্পন্ন র
Subscribe to:
Posts (Atom)