Search This Blog
Wednesday, October 31, 2018
NTRCA এর নামে ভূয়া ওয়েবসাইট সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার জন্য জরুরী বিজ্ঞপ্তি NTRCA
NTRCA এর নামে ভুয়া ওয়েবসাইট সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার জন্য জরুরী বিজ্ঞপ্তি
এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানাে যাচ্ছে যে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। (NTRCA) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হচ্ছে www.ntrca.gov.bd। সম্প্রতি অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারক চক্র www.ntrcabd.org নামে একটি ভূয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করাসহ অবৈধ অর্থ আদায়ের মাধ্যমে NTRCA এর ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে মর্মে এ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগােচর হয়েছে। উল্লেখ্য যে, NTRCA অত্যন্ত স্বচ্ছতা, সততা ও নিরপেক্ষতার সাথে শিক্ষক নিয়ােগ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এ কার্যক্রমে অর্থ লেনদেনের কোনাে সুযােগ নেই।
এমতাবস্থায়, উক্ত ভুয়া ওয়েবসাইটে যােগাযােগ না করা এবং কারও সাথে শিক্ষক নিয়ােগ সংক্রান্ত বিষয় বা NTRCA সংক্রান্ত অন্য যে কোনাে বিষয়ে আর্থিক লেনদেন না করার জন্য নির্দেশক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরােধ করা হলাে।
Monday, October 15, 2018
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: একসঙ্গে নয়, জেলায় জেলায় পরীক্ষা
মুসতাক আহমদ: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবার একসঙ্গে নেয়া হচ্ছে না। রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থীর আবেদন ও পরীক্ষার হল সংকটের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করতে চায়। এ লক্ষ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা নেয়া শুরু হবে। জানুয়ারির মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্তদের পূর্ণকালীন হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা চূড়ান্ত হলেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি যুগান্তরকে বলেন, মামলার কারণে দীর্ঘদিন রাজস্ব খাতের শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যায়নি। তাই অনেক পদ শূন্য আছে। আমরা চাইব নতুন শিক্ষক যেন নতুন বছরে ক্লাসরুমে পাঠাতে পারি। সে লক্ষ্যে এ মাসের মধ্যেই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর চিন্তাভাবনা ছিল। কিন্তু ওএমআর ফরমসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি কেনাকাটায় সরকারি ক্রয় আইন (পিপিআর) অনুসরণ করতে গিয়ে আমাদের গতি একটু কমে যাচ্ছে। তাছাড়া একসঙ্গে সারা দেশে পরীক্ষা নেয়া যাচ্ছে না। নভেম্বর মাসজুড়ে দুটি বড় পরীক্ষা আছে। তাই পরীক্ষা হল পাওয়া যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে পরীক্ষা ডিসেম্বরে চলে যাচ্ছে। হল পাওয়া সাপেক্ষে ৩-৪টি করে জেলার পরীক্ষা একসঙ্গে নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে যাদের প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তাদের স্থায়ী করা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে ৩০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১-৩০ আগস্ট অনলাইনে আবেদন নেয়া হয়। মোট ২৪ লাখ ১ হাজার ৫৯৭ জন আবেদন করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে সর্বশেষ নিয়োগে প্রায় ১২ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছিল। সে হিসাবে এবার প্রার্থী দ্বিগুণ।
ডিপিই কর্মকর্তারা আরও জানান, সর্বশেষ নিয়োগে সারা দেশে ৩ হাজার ৬৬২ কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়া হয়। এবার দ্বিগুণ প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। কিন্তু উপজেলা-জেলা পর্যায়ে এত কেন্দ্র পাওয়া কঠিন। এ কারণে উপজেলা সদরের কাছাকাছি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্র নির্বাচনের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকদের দেয়া হয়েছে। এখন জেলা প্রশাসকরা কেন্দ্র ঠিক করে দিলে দুই তা ততোধিক জেলায় একসঙ্গে পরীক্ষা নেয়া হবে। এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় ২০ সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আগে এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিসহ পরীক্ষা গ্রহণে নেতৃত্ব দিত ডিপিই। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আরও কড়াকড়ি আনা এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে এবার প্রশ্ন নির্বাচন ও আসন বিন্যাস মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করে দেয়া হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রণয়ন করা হবে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, পরীক্ষার সময়সূচি, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের আসন বিন্যাসের পদ্ধতি উন্নয়ন বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, পরীক্ষার ব্যাপারে বুয়েটের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ওএমআর ফরম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়াতে এবার উপজেলা সদরের পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেন্দ্র বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। কেন্দ্র নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে দেয়া হয়েছে। তারা প্রতিটি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্র বৃদ্ধি ও পরীক্ষা আয়োজনের জন্য সময় নির্ধারণ করবে। এরপর নিয়োগ পরীক্ষার সময় ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে যদি সব জেলায় একসঙ্গে কেন্দ্র খালি না পাওয়া যায় তবে কয়েকটি জেলায় সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।
আকরাম আল-হোসেন আরও বলেন, এবার তিন ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার চিন্তা ছিল। কিন্তু সময়স্বল্পতার কারণে আগের মতোই দুই স্তরের পরীক্ষায় নিয়োগ করা হবে। সে অনুযায়ী ৮০ নম্বরে এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষার পর ২০ নম্বরে ভাইভা নেয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ফিজার বলেন, দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে। তাই এই নিয়োগটি আমাদের দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন। সে কারণে পরীক্ষা পদ্ধতি বদলানো সম্ভব হয়নি। তবে প্রার্থীর আবেদনে ন্যূনতম যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস থাকলেও বিদ্যমান পদ্ধতিতে মানসম্পন্ন প্রার্থীরাই নিয়োগ পাচ্ছে। গত কয়েক বছরের রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ প্রার্থীই স্নাতক ডিগ্রিধারী।
চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত নিয়োগ পাচ্ছেন : গত কয়েক মাসে চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলা বাদে সারা দেশে ১৭ হাজার সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চলতি
Thursday, October 4, 2018
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ৩৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
মামলাসহ নানা জটিলতার কারণে প্রায় দুই বছর ধরে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিলো। এতে সারাদেশে বিভিন্ন স্কুল কলেজে শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রয়। এই অবস্থা উত্তরণে শিক্ষক নিয়োগ ফের চালু হচ্ছে। আগামী নভেম্বরে মাসের প্রথম সপ্তাহে ৩৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) একাধিক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু জটিলাতার কারণে কয়েক বছর শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিলো। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে সারাদেশের সব স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শূন্য আসনের তালিকা পাঠাতে নির্দেশনা দেয় এনটিআরসিএ। প্রথম দফায় সব শূন্য পদের তালিকা না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়ানো হয়। গত ৩০সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় মেধা তালিকা পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলে আগামী মাসের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
সম্প্রতি ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এবিষয় জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আজাহার হোসেন একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের তালিকা আমরা পাঠিয়েছি। এছাড়া বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। এগুলো কাটিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হবে।
নভেম্বরে কত তারিখে বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৩৮ হাজার ৮০০ জন শিক্ষকের তালিকা পাঠানো হয়েছে। টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এ তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে শূন্য আসনের তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কমকর্তাদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর সেই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তালিকা চূড়ান্ত করার পর নিবন্ধিত প্রার্থীদের আবেদন চেয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ। এরপর মেধা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোধাক্রমে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করবে এ প্রতিষ্ঠানটি। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে বলছে, এনটিআরসিএ’র নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করার পরও নিয়োগ না পেয়ে বিভিন্ন সময়ে নিবন্ধিত প্রার্থীরা ৩৫টি মামলা করেন। তার ভিত্তিতে আদালত থেকে নিবন্ধিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক প্রথম থেকে ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
এ তালিকায় সারাদেশে মোট ৬ লাখ ৪ হাজার ৬৮৫ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। এদিকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে কিছুটা পরিবর্তন আনতে গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিদ্যালয় শাখায় একটি সুপারিশ পাঠানো হয়।
সুপারিশে বলা হয়, আইন অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কলেজ, মাদরাসা) মহানগর অথবা জেলা সদরের পৌর এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনুমোদিত শিক্ষক পদসংখ্যার অন্তত ৪০ শতাংশ পদে এবং অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পদে নারী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
অথচ বাস্তবে একই উপজেলার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন হার থাকায় অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হিসাব নির্ণয়ে কঠিন ও ভুল হয়ে যায়। তাই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই হারে নারী কোটা চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখানে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ করা যেতে পারেও বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরুষ এবং ছাত্রদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠা নারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানিয়ে আসছেন। তাই শরীরচর্চা বিষয়ে ছাত্রদের প্রতিষ্ঠানে পুরুষ এবং ছাত্রীদের প্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়) জাবেদ আহমেদ একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, এনটিআরসিএ থেকে পাঠানো সুপারিশকে গুরুত্ব দিয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে। দ্রুত এ বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বেশি হলে নিবন্ধিত ব্যক্তি নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। জেলা ভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে জাতীয় ভাবে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ফলে এক জেলার প্রার্থী অন্য জেলায় নিয়োগের আবেদন করতে পারবেন। এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে সব কোটা বাতিল করে কেবল নারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা ৩০ শতাংশ বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি শারীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
সূত্রঃ একুশে টিভি
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু জটিলাতার কারণে কয়েক বছর শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিলো। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে সারাদেশের সব স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শূন্য আসনের তালিকা পাঠাতে নির্দেশনা দেয় এনটিআরসিএ। প্রথম দফায় সব শূন্য পদের তালিকা না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়ানো হয়। গত ৩০সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় মেধা তালিকা পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলে আগামী মাসের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
সম্প্রতি ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এবিষয় জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আজাহার হোসেন একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের তালিকা আমরা পাঠিয়েছি। এছাড়া বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। এগুলো কাটিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হবে।
নভেম্বরে কত তারিখে বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৩৮ হাজার ৮০০ জন শিক্ষকের তালিকা পাঠানো হয়েছে। টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এ তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে শূন্য আসনের তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কমকর্তাদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর সেই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তালিকা চূড়ান্ত করার পর নিবন্ধিত প্রার্থীদের আবেদন চেয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ। এরপর মেধা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোধাক্রমে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করবে এ প্রতিষ্ঠানটি। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে বলছে, এনটিআরসিএ’র নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করার পরও নিয়োগ না পেয়ে বিভিন্ন সময়ে নিবন্ধিত প্রার্থীরা ৩৫টি মামলা করেন। তার ভিত্তিতে আদালত থেকে নিবন্ধিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক প্রথম থেকে ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
এ তালিকায় সারাদেশে মোট ৬ লাখ ৪ হাজার ৬৮৫ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। এদিকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে কিছুটা পরিবর্তন আনতে গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিদ্যালয় শাখায় একটি সুপারিশ পাঠানো হয়।
সুপারিশে বলা হয়, আইন অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কলেজ, মাদরাসা) মহানগর অথবা জেলা সদরের পৌর এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনুমোদিত শিক্ষক পদসংখ্যার অন্তত ৪০ শতাংশ পদে এবং অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পদে নারী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
অথচ বাস্তবে একই উপজেলার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন হার থাকায় অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হিসাব নির্ণয়ে কঠিন ও ভুল হয়ে যায়। তাই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই হারে নারী কোটা চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখানে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ করা যেতে পারেও বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরুষ এবং ছাত্রদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠা নারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানিয়ে আসছেন। তাই শরীরচর্চা বিষয়ে ছাত্রদের প্রতিষ্ঠানে পুরুষ এবং ছাত্রীদের প্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়) জাবেদ আহমেদ একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, এনটিআরসিএ থেকে পাঠানো সুপারিশকে গুরুত্ব দিয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে। দ্রুত এ বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বেশি হলে নিবন্ধিত ব্যক্তি নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। জেলা ভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে জাতীয় ভাবে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ফলে এক জেলার প্রার্থী অন্য জেলায় নিয়োগের আবেদন করতে পারবেন। এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে সব কোটা বাতিল করে কেবল নারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা ৩০ শতাংশ বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি শারীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
সূত্রঃ একুশে টিভি
Subscribe to:
Posts (Atom)