Search This Blog

Friday, September 21, 2018

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ৪৮৪ পদের পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতি


পরীক্ষার তারিখঃ ২৮-০৯-২০১৮

► লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান থেকে
► মৌখিক পরীক্ষায় ব্যাংকিং খাত, অর্থনীতি, সমসাময়িক বিষয়, নিজ জেলা, নিজের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতে পারে

পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতি
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সহকারী মহাপরিচালক শেখ আখতারুজ্জামান জানান, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান থেকে। বাংলায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়তে হবে। জানতে হবে কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম।
ইংরেজিতে গ্রামার অংশে Tense, Parts of speech, Verb, Translation, Number, Gender, Narration, Voice Change, Correct Form of Verbs, Pronunciation, Synonym, Antonym, Transformation of Sentence, Appropriate Word, Idioms and Phrases থেকে প্রশ্ন আসে। এগুলোর সঙ্গে অনেক vocabulary শিখতে হবে।
গণিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্য বই অনুসরণ করতে হবে। সুদকষা, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত, সমানুপাত, শতকরা, লসাগু-গসাগু, লাভ-ক্ষতি, ভগ্নাংশ, লগারিদম থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। দেখতে হবে বীজগণিতের সূত্র, অনুসিদ্ধান্ত, জ্যামিতি ও পরিমিতির সাধারণ নিয়মাবলি।
সাধারণ জ্ঞানের জন্য নজর রাখতে হবে সমসাময়িক বিষয়ের ওপর। জানতে হবে ব্যাংকিং সেক্টরের হালনাগাদ তথ্য। সঙ্গে জানতে হবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আলোচিত বিষয় সম্পর্কে। পড়তে হবে ভালোমানের সাধারণ জ্ঞানের বই, দৈনিক পত্রিকা ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মাসিক সাময়িকী।
মৌখিক পরীক্ষা
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। ব্যাংকিং খাত, অর্থনীতি, সমসাময়িক বিষয়, নিজ জেলা, নিজের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতে পারে। প্রশ্ন করা হতে পারে পদ সম্পর্কেও। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা, সুন্দর ও সাবলীলভাবে গুছিয়ে কথা ক্ষমতা দেখা হতে পারে মৌখিক পরীক্ষায়।
বেতন ও সুযোগ-সুবিধা
ক্যাশ সহকারী পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা স্কেলে বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। শেখ আখতারুজ্জামান জানান, তিন বছর পরে পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। সিনিয়র অফিসার পর্যন্ত পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে একজন ক্যাশ সহকারীর।


Friday, 28 September 2018 (3.30 PM -4.30 PM)

http://psb.teletalk.com.bd/admitcard/index.php


* যারা sms পান নি তারাও ডাউনলোড করতে পারবেন।
* ID/ Password ভুলে গেলে Recover করুন।
* ডাউনলোডে সমস্যা হলে Browser change করে চেষ্টা করুন।
* পরীক্ষা ঢাকাতে হবে।

Monday, September 17, 2018

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা অক্টোবরে বিস্তারিত



প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা অক্টোবরে
>> এবার সর্বোচ্চ আবেদন ২৪ লাখ ৫টি
>> প্রতি আসনে লড়বেন ২০০ জন
>> ডিসেম্বরের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা
>> নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হবে আগামী বছর

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ হিসেবে নিয়োগ পেতে ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী অাবেদন করেছেন। সারাদেশে ১২ হাজার আসনের বিপরীতে এই চাকরি প্রত্যাশীরা পরীক্ষা যুদ্ধে বসবেন। অর্থাৎ প্রতি আসনে লড়বেন ২০০ জন। চলতি বছরের ১৯ থেকে ২৬ অক্টোরের মধ্যে লিখিত (এসসিকিউ) পরীক্ষা আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ডিসেম্বরের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মনজুর কাদির জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি-৪) আওতাভুক্ত ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। গত ৩০ জুলাই এই ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। সারাদেশ থেকে মোট ২৪ লাখ ৫টি আবেদন এসেছে।

তিনি বলেন, আগামী ১৯ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি সভা হওয়ার কথা আছে। সেখানে পরীক্ষার দিন, সময় নির্ধারণ করা হবে। অক্টোবর মাসে লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হলে ডিসেম্বরের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করা হবে। পাস করা যোগ্য প্রার্থীদের পরবর্তী বছরের শুরুতে নিয়োগ দেয়া হবে।

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য বারের চাইতে ২০১৮ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। গত ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। এ সময়ের মধ্যে ২৪ লাখ ৫টি আবেদন জমা হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ লাখ ৫২ হাজার ৭৬০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৫টি, রাজশাহী বিভাগে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৯২৫টি, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০টি, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৭টি, সিলেট বিভাগে ১ লাখ ২০ হাজার ৬২৩টি, রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬৮টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি আবেদন জমা হয়েছে।

ডিপিই সূত্র জানায়, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এ কারণে নতুন করে আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হয়। পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ফলে নারী আবেদনকারীদের ৬০ শতাংশ কোটায় এইচএসসি বা সমমান পাস এবং পুরুষের জন্য ৪০ শতাংশ কোটায় স্নাতক বা সমমান পাস রাখা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় আসন প্রতি তিনজনকে (একজন পুরুষ ও দুইজন নারী) নির্বাচন করা হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

প্রার্থীরা http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলি এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) পাওয়া যাবে।

Friday, September 14, 2018

প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২৬ অক্টোবর!


অনলাইন ডেস্ক
গত ৩০ জুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নিরসনে রাজস্বখাতভুক্ত নতুন করে আরও ১২ হাজার ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। ১ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়ে ৩০ আগস্ট শেষ হয়।
ডিপিই সূত্র জানিয়েছে আগামী মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে ওই নিয়োগ পরীক্ষা। আগামী ২৬ অক্টোবর শুক্রবার ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।
পরীক্ষার সপ্তাহখানেক আগে এমএমএস করে প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এবং প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময়ও জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রার্থীরা http://dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই এ বিষয়ে ডিপিই’র মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নতুন করে রাজস্ব খাতে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন নিয়োগ বিধিমালার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় পুরনো নিয়োগ বিধির আলোকে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সে অনুযায়ী আগের সব বিষয় বহাল থাকবে।

Thursday, September 6, 2018

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল যেভাবে জানবেন


অনলাইন ডেস্ক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৪’ ফলাফল আজ প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ( www.dpe.gov.bd ) ফল পাওয়া যাবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের রোল নম্বরের তালিকা ইতোমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, চলতি মাসের মধ্যেই মনোনীত শিক্ষকদের যোগদান কাযর্ক্রম শেষ করা হবে। শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান, এই মাসের মধ্যেই শিক্ষকদের যোগদান কাযর্ক্রম শেষ করা হবে।’
এ ধাপে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন।
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৪’ দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর চলতি বছর ২০ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। চারটি ধাপে সারাদেশের ৬১টি জেলায় শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মোট ১৩ লাখ প্রার্থী আবেদন করলেও তার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। তার মধ্যে ২৯ হাজার ৫৫৫ জন উত্তীর্ণ হন। নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী আসন প্রতি তিনজন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তার মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়।
গত ৮ জুলাই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে গত ২৯ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Monday, September 3, 2018

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল ৬ সেপ্টেম্বর



প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল ৬ সেপ্টেম্বর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৪’ পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) এ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এছাড়া এ মাসের মধ্যেই মনোনীত শিক্ষকদের যোগদান কার্যক্রম শেষ করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৪’ পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর এ ফল প্রকাশ করা হতে পারে। এই মাসের মধ্যেই শিক্ষকদের যোগদান কার্যক্রম শেষ করা হবে।’

চূড়ান্ত ফল তৈরির কাজ শেষ হলেও বর্তমানে কোটাধারীদের ফলাফল তৈরি করা হচ্ছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই কোটাধারীদের ফল তৈরির কাজ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার এই ফল প্রকাশের সময় ধার্য করা হয়েছে। এ ধাপে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন।

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানায়, রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৪’ দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর চলতি বছর ২০ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। চারটি ধাপে সারা দেশে ৬১টি জেলায় শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১৩ লাখ প্রার্থী আবেদন করলেও তার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। তার মধ্যে ২৯ হাজার ৫৫৫ জন উত্তীর্ণ হন। নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী আসন প্রতি তিনজন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তার মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়। গত ৮ জুলাই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে গত ২৯ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুপ্রেরনা❤️- বেকার ছেলেটির চোখের কোণের জলে ছলছল করছে। বন্ধুর বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সংবাদে যতজন টাইমলাইনে অভিনন্দন জানিয়েছে, তার নিজের জন্মদিনে তার অর্ধেকও কেউ এত উইশ করেনি।


আপনি দামি ভার্সিটিতে ফার্স্ট হিসেবে কোয়ালফাইড হলে পত্রিকার শিরোনাম হবেন, ভাল চাকরি পেলে বন্ধুমহলে অভিনন্দিত হবেন, কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ান হলে আপনার সাথে সেলফি তুলতে সবাই পাগল হয়ে যাবে। আর আপনার যদি এমন কোনো সফলতা না থাকে, তবে কেউ খোঁজ নিতেও আসবে না। এই পৃথিবীটা খুবই স্বার্থপর। সত্যিই স্বার্থপর।
ভার্সিটিতে চান্স না পেলে আপনি রুমের দরজা বন্ধ করে নিজেই কাঁদবেন একা একা, অথচ আপনার বন্ধুটির টাইমলাইনে অভিনন্দন এর বন্যা বয়ে যাবে। চাকরিটা না পেলে বুকের কষ্ট চেপে আপনাকে ঠিকই টিউশনের জন্য দৌঁড়াতে হবে। মন খারাপ করে একদিন টিউশনে না গেলে পরদিন হয়তো সেই টিউশনিটাই থাকবে না। পৃথিবীটা খুব নিষ্টুর। এই পৃথিবী এতটাই নিষ্ঠুর যে, আপনাকে কষ্ট দিবে, আঘাত দিবে, যন্ত্রণা দিবে কিন্তু কান্নার সময়টুকুও দিবেনা।
আপনার নামি অফিসার বন্ধুটি যখন মাস শেষে তার প্রেয়সীর জন্য উপলক্ষ ছাড়াই দামি উপহার কিনছে, আপনি তখন আপনার প্রেয়সীর জন্মদিনের মত বড় উপলক্ষেও দেখা করতে পারছেন না মাসের শেষেও পকেট শুন্য থাকায়। তখনো আপনার পরিচয় শুধু একজন টিউশন মাস্টার। আপনার সেই বন্ধুটি খুবই বন্ধুবৎসল কারণ সে প্রায়ই উপলক্ষ ছাড়াই ট্রিট দেয় দামি রেস্টুরেন্টে। কিন্তু বন্ধুমহলে আপনার পরিচয় একজন হাড় কিপটে। কারণ বেকারত্বের বোঝা কাঁধে নিয়ে শুন্য পকেটে কাউকে ট্রিট দেয়ার সামর্থ্যটুকুও আপনার নেই। বিশ্বাস করেন, কেউ জানতেও চাইবেনা মাসের শেষে টিউশনের সামান্য ক'টা টাকা দিয়ে আপনার জীবনটা আসলেই চলে কি-না। সবাই শুধু আপনার কৃপণতা দেখবে কিন্তু আপনার বেকারত্বের দিকে এত নজর দেয়ার সময় কারো হবেনা। পৃথিবীটা খুবই স্বার্থপর।
বেকার ছেলেটির চোখের কোণের জলে ছলছল করছে। বন্ধুর বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সংবাদে যতজন টাইমলাইনে অভিনন্দন জানিয়েছে, তার নিজের জন্মদিনে তার অর্ধেকও কেউ এত উইশ করেনি। পৃথিবীটা সত্যিই স্বার্থপর। আপনার অফিসার বন্ধুটি যখন মায়ের জন্য ১১ হাত লম্বা দামি শাড়ি কিনছে, আপনি তখনো ১১ ইঞ্চি ছোট্ট রুমালে চোখের জল মুছতে ব্যস্ত। কবে একটা চাকরি পাবেন আর মায়ের জন্য শাড়ি কিনবেন। মায়ের বয়স তো ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দুষ্ট বোনের দুষ্টামীর বয়সটাও পার হয়ে যাচ্ছে। সময় থাকতে যদি তাদের শখগুলো পূরণ করা না যায়, তবে আজীবন পূর্ণতার মাঝেও এক অপূর্ণতা নিয়ে বাঁচতে হবে। একদিন আপনি হয়তো অনেক কিছুই হবেন, কিন্তু আপনার সেই 'অনেক কিছু হওয়াটা ' যদি আপনার মা বাবা দেখে যেতে না পারেন, তবে এর চেয়ে বড় আফসোস আর কী হতে পারে! কারণ আপনি স্বপ্ন কী বুঝার আগেই যারা আপনাকে নিয়ে প্রথম মহাস্বপ্ন দেখেছেন, তারা আপনার মা বাবা।
কষ্ট কি সেই মেয়েটির ও কম, যে কি-না শুধু নিজের একটা আইডেন্টিটি তৈরি করার জন্য এখনো পাত্রপক্ষের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলছে। কেউ বলবে মেয়েটির নিশ্চয় কারো সাথে সম্পর্ক আছে, আবার কেউ কেউ মেয়েটির সৌন্দর্য নিয়েও নেগেটিভ কথা বলতে একবার চিন্তা করবে না। অথচ শুধু একটা চাকরির জন্য গ্র্যাজুয়েট মেয়েটিকেও এত কথা শুনতে হয়, ঠিক এতটাই নিষ্টুর কষ্ট মেনে নিতে হয়। পৃথিবীটা আসলেই স্বার্থপর। কেউ মেয়েটির মনের ইচ্ছেটা দেখতেও চাইবেনা। সবাই শুধু দেখবে মেয়েটির বিয়ে হচ্ছে না। অথচ কেউ বুঝবে না, মেয়েটি যে আসলে এখন বিয়ে করতে চাইছে না।
পৃথিবী নিষ্টুর হয়েছে হোক। আপনি কেন নিজের প্রতি নিষ্টুর হবেন? সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনাকে ভালোবাসার মত কাউকে পাবেন না। কিন্তু একবার সফল হয়ে গেলে এত বেশি ভালোবাসা পাবেন যে, সব ভালোবাসার রিপ্লাই দেয়ার সময়ও পাবেন না। সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজেকে নিজেই ভালোবাসতে হয়। কষ্টের উপর কষ্ট রেখে, দাঁতে দাঁত চেপে জেদ করে শুধু লেগে থাকতে হবে টার্গেট পূরণের আশায়। আজ যারা বলছে "তোমাকে দিয়ে আর কিছুই হবে না ", কাল আপনি সফল হলে পরশু আবার তারাই বলবে "জানতাম তোমাকে দিয়েই হবে "।

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ - পদ ১২ হাজার, আবেদন ১৯ লাখ!



সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে গত ৩০ আগস্ট। ১২ হাজার পদের বিপরীতে সারা দেশে প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে। প্রতি পদে বিপরীতে প্রার্থী ১৫৮ জন।
এ বিষয়ে ডিপিই মহাপরিচালক আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল জানান, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গত ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ আবেদন প্রক্রিয়া চলে। মহাপরিচালক আবু হেনা বলেন, ১২ হাজার সরকারী শিক্ষক নেয়া হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেকের আগ্রহ থাকায় সারা দেশে ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ আবেদন জমা পড়ে। স্বচ্ছতার সঙ্গে এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার সময় ঘোষণা করা হবে। এ সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের প্রবেশপত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজ শেষ করা হবে। ডিপিই ওয়েবসাইটে dpe.teletalk.com.bd প্রবেশপত্র ও যাবতীয় নির্দেশনা দেয়া হবে।
জানা গেছে, দেশের ৬৩ জেলার সরকারি বিদ্যালয়ে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গত ৩০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিপিই। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাকরিবিধি অনুযায়ী আবেদনের ক্ষেত্রে ১৮-৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এতে পুরুষদের জন্য স্নাতক বা সমমানের দ্বিতীয়/বিভাগ বা শ্রেণিতে পাস থাকতে হবে। আর নারীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পরীক্ষায় নুন্যতম দ্বিতীয়/বিভাগ/সমমানে পাস হতে হবে।
ডিপিই সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক শূন্য রয়েছে। এ কারণে নতুন করে রাজস্বখাতভুক্ত আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পুরনো নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে নারী আবেদনকারীদের ৬০ শতাংশ কোটায় এইচএসসি বা সমমান পাস এবং পুরুষের জন্য ৪০ শতাংশ কোটায় স্নাতক বা সমমান পাস রাখা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় আসন প্রতি তিনজনকে (একজন পুরুষ ও দুইজন নারী) নির্বাচন করা হবে। ডিপিই’র নিয়োগ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৪ সালের স্থগিত নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে।