Search This Blog
Tuesday, August 28, 2018
মাদরাসার জনবল কাঠামো ও এমপিওতে অসামঞ্জস্য
মাদরাসার সহকারী মৌলভি পদে ১২ ও ১০ বছর অভিজ্ঞতা থাকার বিধান রয়েছে।
অথচ আলিম মাদরাসার প্রভাষকরা (আরবি), যাদের স্কেল ২৯,০০০ টাকা তারা আলিম মাদরাসায় উক্ত পদে যতদিন চাকরি করুন, উপাধ্যক্ষ বা অধ্যক্ষ হতে পারবে না--এটা বড়ই নির্মম ও অবমাননাকর এবং অবমূল্যায়ন। দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার আলিম মাদরাসার উপাধ্যক্ষ হতে পারবে আর প্রভাষক তার অধীনে চাকরি করবেন, আবার দাখিল মাদরাসার সুপার আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ হতে পারবেন, অথচ আলিম প্রভাষক হয়ে অধ্যক্ষ হতে পারবে না, তার অধীনে চাকরি করবে এটা বড়ই অবমাননাকর। বিষয়টা সুবিবেচনায় নেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। পূর্বে জনবল কাঠামো ছিল যে, প্রভাষকরা ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে অধ্যক্ষ হতে পারতেন। তাছাড়া সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির যে অনুপাত (৫:২) রাখা হয়েছে, তাতে সহকারী অধ্যাপক পদে প্রভাষকদের যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে ১১.৪ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে।
আবার পূর্বের জনবল কাঠামোতে প্রভাষকদের ২ বছর চাকরির পর যে উচ্চতর স্কেল দেওয়া হতো, তাও বাতিল করা হয়েছে। যদি তাদের এই উচ্চতর স্কেল রেখে ১০ বছর ও ৬ বছর পরে দুটি টাইমস্কেল দেওয়া হতো, তাহলে তারা ৬ নং গ্রেডেও যেতে পারতেন এবং তাদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া যেত। যেমন সহকারী মৌলভিরা শুরুর স্কেল ১২,৫০০ থেকে বিএমএড অথবা কামিল পাস হলে ফুল ১৬,০০০ স্কেল তারপর দুটি টাইমস্কেল পেয়ে তারা সহসুপার স্কেল অর্থাৎ ২৩,০০০ টাকা পাবেন।
তেমনটি যদি প্রভাষকরা শুরুর স্কেল ২২,০০০ টাকা থাকে দুই বছর পর উচ্চতর স্কেল ২৩,০০০ টাকা পেতেন, তারপর দুটি টাইমস্কেল হলে ওই দাখিল মাদরাসার ধারায় প্রভাষকরা ও আলিম মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষ পদের স্কেলে অর্থাৎ ৩৫,৫০০ টাকা পেতেন। তাহলে দাখিল মাদরাসার ধারা ও আলিম মাদরাসার ধারা বহাল থাকত। কিন্তু নতুন জনবল কাঠামোতে দাখিল স্তরে করা হয়েছে, আলিম স্তরে তা করা হয়নি। সহকারী মৌলভি ১৬ বছর পর যে স্কেল অর্থাৎ ২৩,০০০ টাকা পাবেন, প্রভাষকরা সে স্কেলে অর্থাৎ ২৩,০০০ টাকা দশ বছর পর পাবেন। এটা কি একটি বিধান হলো? এটা বড়ই অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয় এবং বিষয়গুলো অতি জনগুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিধায় জনবল কাঠামোটি সংশোধনীর বিশেষ দাবি রাখে।
লেখক : প্রভাষক, ইসমাইলপুর রহমানিয়া সিনিয়র মাদরাসা, বদলগাছী, নওগাঁ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment