Search This Blog

Monday, July 30, 2018

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি: রবিবার থেকে আবেদন, চলবে ১৫ দিন


আগামী রবিবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন নেওয়া সিদ্বান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে নির্ধারিত সফটওয়ারের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ১৫ দিন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। গতকাল সোমবার দুপুরে ব্যানবেইসে (বাংলাদেশ শিক্ষা ও পরিসংখ্যান ব্যুরো) অনুষ্ঠিত মন্ত্রণালয় গঠিত এমপিওভুক্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাছাই-বাছাই কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদ আজকালের খবরকে বলেন, ‘রবিবার থেকে অনালাইনে আবেদন নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে একটি সফরওয়্যারের লিংক দেওয়া হবে। তাতে আবেদনের সব নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। অনলাইনে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে। ১৫দিন আবেদনের সময় দেওয়া হবে।’
সভায় কমিটির সদস্য ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) সালমা জাহান, যুগ্ম সচিব (আইন) মু. ফজলুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর সরকার আবদুল মান্নান, মাউশির পরিচালক (কলেজ) প্রফেসর মোহাম্মদ শামছুল হুদাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শুধু আবেদন নেওয়ার তারিখ ঠিক করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে এর আগে গত ১৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে একটি সভায় হয়েছে। সভায় সিদ্বান্ত হয়েছে, এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী এমপিও প্রত্যাশিত আবেদন গ্রহণ শেষে প্রতিষ্ঠানের তালিকা মন্ত্রীর কাছে জমা দিবে আবেদন যাচাই-বাছাই কমিটি। যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা উপজেলা ও সংসদীয় আসন ভিত্তিক করে প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।
সূত্র আরও জানায়, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক কলেজ ও স্নাতক (পাস)- এই পাঁচ স্তরের এপিওভুক্তির জন্য আলাদা আবেদন করা যাবে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক বা একাধিক স্তরের জন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদনের যোগ্যতার অন্যতম শর্ত পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ২০১৫, ১৬ ও ১৭ সালের পরীক্ষার পাসের হারের গড় করে মান নির্ধারণ করা হবে। এমপিও প্রত্যাশিত প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিকায় সিটে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকা/উপজেলায় বর্তমান এমপিও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রাপ্যতার সংখ্যা উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহকে আহ্বায়ক করে ‘অনলাইন অ্যাপলিকেশন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা’ কমিটি করা হয়। কমিটির তৈরি করা সফটওয়ারটি ১৯ জুলাইর সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (http://shed.portal.gov.bd) এ on line MPO শিরোনামে একটি software এর লিংক দেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে এ সফটওয়ারের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। সফটওয়ারটি ঢুকলেই তিনটি নির্দেশিকা আইকন (Icon) দেখা যাবে। তাতে আবেদনের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া থাকবে। এমপিও প্রত্যাশিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা নির্দেশিনা অনুসরণ করে সহজেই অন লাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন।
আবেদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রেডিং করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য তথা শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হারসহ বিভিন্ন তথ্য ব্যানবেইস ও শিক্ষাবোর্ডের ডাটবেইজ থেকে ইমপুর্ট করা হবে। এ সকল তথ্যের ভিত্তিতে এমপিও নীতিমালার শর্তানুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রেডিং তালিকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে।
সূত্র আরও জানায়, সফটওয়্যারটি ওরাল ডাটাবেস (Oracle Databace) সমৃদ্ধ রেড হার্ট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স (Red Hat Enterprise linux) অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা পারিচালিত হবে। অ্যাপাসি কনফিগারেশনসহ (apache configration) জাভা স্কিপ্ট লাইব্রেরি ব্যবহার করে সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে জমাকৃত যাবতীয় তথ্য ব্যানবেইসের সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। ব্যানবেইসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে ডাটা সিকিউরিটি নিশ্চিত করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’র ১৬(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এমপিওভুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠান যাছাই-বাছাই ও অনলাইন অ্যাপলিকেশন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা পৃথক দুটি কমিটি করা হয়। কমিটির কর্মপরিধি উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। প্রতিষ্ঠানের আবেদনে প্রদত্ত তথ্যে কোনো অনিয়ম বা অসামঞ্জসতা থাকলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে সুপারিশও করতে কমিটিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি বন্ধ রয়েছে। গত ১০ জুন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্তির দাবিতে বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিককরা অনশনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। পরে সরকারের আশ^াসে তারা বাড়ি ফিলে গেছেন। এর আগে গত ডিসেম্বর মাসেও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষকরা দাবি আদায়ে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই সরকার নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্র: আজকালের খবর

1 comment:

  1. নতুন এমপিও ভুক্তি সহ সকল তথ্য পেতে লেখাটি সহায়তা করবে। তথ্য বহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ।

    ReplyDelete